Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

প্রখ্যাত ব্যক্তিত্ব

বগুড়ার ইতিহাস, ঐতিহ্য যেমন সমৃদ্ধশালি তেমনি যুগে যুগে এ অঞ্চলে বহু বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ জন্ম গ্রহণ করেছেন। সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে তাদের অবদান অপরিসিম। উল্লেখযোগ্য কিছু প্রখ্যাত ব্যক্তিবর্গ যাদের অবদানের কারণে এ অঞ্চলের মানুষের কাছে স্মরণীয় হয়ে আছেন তাদের সংক্ষিপ্ত আলোচনা তুলে ধরা হলো :

১। রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বঃ

ক্রমিক সংখ্যা

নাম

জন্ম ও জন্মস্থান

অবদান

শহীদ প্রেসিডেন্ট জেনারেল জিয়াউর রহমান

১৯৩৬ সালের ১৯ জানুয়ারি, বগুড়া জেলার গাবতলী উপজেলাধীন বাগবাড়ি গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মনসুর রহমান এবং মাতার নাম জাহানারা খাতুন।

শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান (১৯ জানুয়ারি ১৯৩৬ – ৩০ মে ১৯৮১) ছিলেন বাংলাদেশের অষ্টম রাষ্ট্রপতি, প্রাক্তন সেনাপ্রধান এবং একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। তিনি মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার ও জেড ফোর্সের অধিনায়ক ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাঁকে বীর উত্তম উপাধিতে ভূষিত করেন।

১৯৫৩ সালে তিনি পশ্চিম পাকিস্তানের কাকুলস্থিত পাকিস্তান মিলিটারি একাডেমিতে অফিসার ক্যাডেট হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৫৫ সালে তিনি সেকেন্ড লেফটেনেন্ট পদবীতে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে কমিশন প্রাপ্ত হন। ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একটি কোম্পানির কমান্ডার হিসেবে বীরত্বের স্বীকৃতিস্বরুপ হিলাল-ই-জুরাত খেতাবে ভূষিত হন এবং তার ইউনিট এই যুদ্ধে বীরত্বের জন্য দুটি সিতারা-ই-জুরাত এবং নয়টি তামঘা-ই-জুরাত পদক লাভ করে।

মেজর জিয়াউর রহমান ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্থানের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেন। তারপর ২৬ মার্চ বেতার কেন্দ্রের কর্মীদের সহায়তায় চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দেন।

১৯৭৫ সালের ৭ই নভেম্বর সিপাহী-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে তিনি গৃহবন্দিত্ব থেকে মুক্ত হন এবং পূর্ব ঘোষিত সামরিক আইনের অধীনে উপপ্রধান সামরিক শাসক হিসেবে রাষ্ট্রক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসেন। এই দিনটি পরবর্তীতে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস হিসেবে পরিচিতি পায়।

তিনি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে ২১ এপ্রিল ১৯৭৭ থেকে ৩০ মে ১৯৮১ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বহুদলীয় গণতন্ত্র ও বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের প্রবর্তক। তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) প্রতিষ্ঠা করেন।

দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ১৯ দফা কর্মসূচি প্রণয়ণ করেছিলেন। এ কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য ছিল উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা, উৎপাদন ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধির লক্ষ্যে পরনির্ভরশীলতা কমানো, আয়ের সুষম বন্টন, জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমিয়ে আনা, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন। এছাড়া, সেচ ব্যবস্থা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে স্বেচ্ছাশ্রম ও সরকারি সহায়তার সমন্বয় ঘটিয়ে ১৪০০ খাল খনন ও পুনর্খনন করেন।

দক্ষিণ এশিয়ার রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে আঞ্চলিক সহযোগিতা জোরদার করার জন্য সার্ক প্রতিষ্ঠায় তিনি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন।

৩০ মে ১৯৮১ সালে চট্টগ্রামের সার্কিট হাউজে কতিপয় বিপথগামী সেনাসদস্যদের হাতে তিনি শাহাদত বরণ করেন।

মোহাম্মদ আলী

১৯০৯ সালের ১৯ অক্টোবর

১৯৫৩ সালের ১৭ অক্টোবর তিনি তৎকালীন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত হন। তৎকালীন রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে তার অবদান স্মরণীয়।

রজিব উদ্দীন তরফদার

১৮৯১ সালে, সারিয়াকান্দি


১৯২২ সালে তিনি প্রজা আন্দোলনের গোড়া পত্তন করেন এবং বগুড়া জেলা প্রজা সমিতি গঠন করেন।তিনি প্রজা আন্দোলনে ব্যপক ভূমিকা রাখেন।

ফজলুল বারী

১৯২২ সালে, শিবগঞ্জ

পাকিস্তান আমলে তিনি স্বাস্থ্য ও সমাজকল্যাণ পদেমন্ত্রী নিযুক্ত হন।

হাবিবুর রহমান (দুলু মিঞা)

১৯০৮ সালে জন্ম

৫০ ও ৬০ দশকে তিনি অষ্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, বেলজিয়াম, সুইজারল্যান্ড, যগোস্লাভিয়া ও বার্মায় রাষ্ট্রদুত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

 তারেক রহমান

 জন্ম ১৯৬৭ সালের ২০ নভেম্বর

তিনি সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দম্পতির প্রথম সন্তান। তিনি সেন্ট জোসেফ কলেজ, বিএএফ শাহীন কলেজ ও ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজে পড়াশোনা করেন। উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করে ১৯৮৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে ভর্তি হন।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের বগুড়া কমিটির সদস্য হিসেবে যোগদানের মাধ্যমে তাঁর রাজনৈতিক জীবন শুরু হয়।

অন্যান্য রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের মধ্যে হাবিবুর রহমান ভান্ডারি, প্রফুল্ল চাকি, মজিবর রহমান, মামদুদুর রহমান চৌধুরী, আমিনুল ইসলাম, আব্দুল মান্নান প্রমুখ উল্লেখযোগ্য।

২। সমাজসেবক

ক্রমিক সংখ্যা

নাম

জন্ম ও জন্মস্থান

অবদান

ডাঃ হাবিবুর রহমান

১৮৯৩ সালে গাবতলি

চিকিৎসা ও সমাজ সেবায় তার ব্যাপক অবদান রয়েছে।

আব্দুল বারী বি, এল

গাবতলি থানার জয়ভোগা গ্রামে

১৯৪৫ সাল হতে ১৯৬০ সাল পর্যন্ত বগুড়া মিউনিসিপালিটির চেয়ারম্যান ছিলেন। এ সময় বিভিন্ন সংস্কারমূলক কাজ করেন।

ছাদেক হোসেন তালুকদার

১৯১৫ সালে, বাগবাড়ী, গাবতলি

তিনি ১৯৬০ হতে ১৯৬৫ পর্যন্ত বগুড়া পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান (সর্বোচ্চ নির্বাচিত পদ) ছিলেন। বগুড়া পৌর উচ্চ বিদ্যালয়, সুইপার কলোনী, সিটি গার্লস স্কুল, অসংখ্য সড়ক নির্মাণ, হাট-বাজার ও এডওয়ার্ড পার্কের আধুনিকায়ন তাঁর উল্লেখযোগ্য অবদান।

ওয়াজেদ হোসেন তরফদার

১৯২৯ সালে সারিয়াকান্দি

জনগণের কল্যানে বগুড়া-সায়িাকান্দি রোডে সংকস্কার, ব্রীজ নির্মান ও যমুনা নদীতে বাঁধ নির্মানে অসামান্য ভূমিকা রাখেন।

আজিজুল হক

কাহালু থানার দেওগ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন।

সাবেক সংসদ সদস্য।বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডে জড়িত ছিলেন।

কবিরাজ শেখ আব্দুল আজিজ

১৮৮১ সালে, বগুড়া সদর

১৯২১ সালে খেলাফত অসহযোগ আন্দোলনে যোগদান করেন।

১৯২৪ সালে প্রজা আন্দোলনে যোগদান করেন এবং কৃষকদের অধিকার আদায়ে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন।

এ,কে মুজিবর রহমান

১৯২২ সালে, বগুড়া সদর

জনসাধারণের সুবির্ধার্থে করতোয়া নদীর উপর ব্রীজ, ০১টি মেডিক্যাল কলেজ, মহিলা কলেজ, বিমান বন্দর ও সুগারমিল স্থাপনের জন্য ব্যাপক অবদান রাখেন।

বেগম মাহমুদা সাদেক

১৯২৯ সালে, বগুড়া সদর


বাগবাড়িতে ১টি বালিকা বিদ্যালয় স্থাপন করেন।১৯৪৫ সালে ইন্ডিয়ান রেটক্রস সোসাইটির সভ্য নির্বাচিত হন।বগুড়া জেলা মহিলা আত্মরক্ষা সমিতির ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন।কুঠির শিল্প কেন্দ্র স্থাপন করে মহিলাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করেন।

পিনাকী ভট্টাচার্য

জন্ম: ২৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৭

 পিনাকী ভট্টাচার্য একজন খ্যাতনামা অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট, লেখক ও চিকিৎসক। তিনি  সর্বজনশ্রদ্ধেয় শিক্ষক শ্যামল ভট্টাচার্য ও সুকৃতি ভট্টাচার্য দম্পতির বড় সন্তান। পিনাকী ভট্টাচার্য বাংলাদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ বগুড়া জিলা স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র। তিনি সমাজের নানা অসঙ্গতি ও সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য পলিটিক্যাল এনালাইসিস সমৃদ্ধ কন্টেন্ট তৈরি করে থাকেন। বগুড়ার আঞ্চলিক ভাষা-কে তার ইউটিউব ভিডিও'র মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী বাংলা ভাষাভাষী সকলের মাঝে তিনি সফলভাবে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন। বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধ এবং অন্যান্য বিষয়ের উপর তার ১৯টি গ্রন্থ রয়েছে। বর্তমানে তিনি ফ্রান্স এর রাজধানী প্যারিসে রাজনৈতিক আশ্রয়ে অবস্থান করছেন।

এছাড়া অন্যান্য সমাজসেবকের মধ্যে ডাঃ মফিজ উদ্দিন আহম্মদ, মোহম্মদ ইসাহাক, বিএম ইলিয়াস, সিরাজুল হক , আব্দুল আলীম, আব্দুল হামিদ খান, মাহবুবর রহমান চৌধুরী, মনির উদ্দীন চৌধুরী, এমএম পাইকাড়, গোলাম রববানী সরকার, হাম্মাদ আলী, মোহাম্মদ মুরাদুজ্জামান, আমজাদ হোসেন তালুকদার, শাহ মোজাম্মেল হক, ইছাহাক গোকুলী, বেগম জিয়াউন্নাহার তালুকদার প্রমুখ উল্লেখযোগ্য।

৩। চিকিৎসাবিদঃ

ক্রমিক সংখ্যা

নাম

জন্ম ও জন্মস্থান

অবদান

ডাঃ মহম্মদ ইয়াছিন

১৯২৬ সালে, বগুড়া সদর থানা

বগুড়া রেটক্রসের সহ-সভাপতি ছিলেন বগুড়া মুক ও বধির স্কুলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।পাকিস্তান মেডিক্যাল এসোসিয়েশন, বগুড়া শাখার

সহ-সভাপতি ছিলেন।বগুড়া স্কাউটের সহকারি স্কাউট কমিশনার ছিলেন।

ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ সোশ্যাল ওয়েল ফেয়ারের সদস্য ছিলেন।

ডাঃ ননী গোপাল দেবদাস

১৯১২ সালের ১ ফেব্রুয়ারি , বগুড়া সদর

১৯৩৬ সালে কলকাতা কারমাইকেল মেডিক্যাল কলেজ থেকে এম,বি পরীক্ষায় কৃতকার্য হয় এবং স্ত্রী বিদ্যায় স্বর্ণপদক লাভ করেন।১৯৪৭ সালে A hand book of pediatrics নামে শিশু বিষয়ক চিকিৎসার বই প্রকাশ করেন। দুর্ভিক্ষ ও মহামারির সময় তিনি আর্তমানবতার সেবায় ব্যাপক অবদান রাখেন।

ডাক্তার টি, আহম্মদ

১৯০৬ সালে, গাবতলি

তিনি চক্ষু চিকিৎসা বিষারদ হিসেবে এ অঞ্চলে খ্যাতি অর্জন করেন।

ডাক্তার এস.আই.এম গোলাম মান্নান

১৯১৮ সাল ২৫মে, সারিয়াকান্দি

১৯৫০ সালে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে এনাটমি বিভগের এ্যাসিসট্যান্ট প্রফেসর ও ১৯৫৯ সালে প্রফেসর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।১৯৬৮ সালে পাকিস্তান মেডিক্যাল এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট পদ লাভ করেন।

এছাড়া অন্যান্য চিকিৎসকদের মধ্যে ডাঃ কছির উদ্দিন তালুকদার, ডাঃ রাবেয়া আহম্মদ, ডাঃ মোঃ আব্দুল লতিফ, ডাঃ মুনসুর রহমান, ডাঃ মোজাফফর রহমান, ডাঃ এ এইচ সাজেদুর রহমান, ডাঃ প্যারি শংকর দাশ গুপ্ত, ডাঃ লতিফা সামসুদ্দীন, ডাঃ মোহাম্মদ হেদায়েতুল ইসলাম প্রমুখ উল্লেখযোগ্য।

৪। আইনবিদঃ

ক্রমিক সংখ্যা

নাম

জন্ম ও জন্মস্থান

অবদান

কলিম উদ্দীন আহম্মদ

১৮৯০ সালে, কাহালু থানায়

একজন প্রসিদ্ধ আইনবিদ হিসেবে বগুড়া বারে সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হন।

খান বাহাদুর ইব্রাহিম

১৮৭১ সালে গাবতলি

১৯১১ সালে সার্টিফিকেট অব অর্নার প্রাপ্ত হন। ১৯১২ সালে দিল্লী দরবার মেডেল ১৯১৬ সালে কাইসার হিন্দ সিলভর মেডেল লাভ করেন।

মজিবর রহমান

১৯৩৬ সালে ১জুলাই, বগুড়া সদর

১৯৬১ সালে ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয় থেকে ‘ল’ ডিগ্রি লাভ করেন এবং ১৯৬২ সালে আইনজীবি হিসেবে বগুড়া বারে যোগদান করেন। ১৯৬৪ সালে সরকারি পাবলিক প্রসিকিউটর নিযুক্ত হন।

গাজীউল হক

---

১৯৫২সালের ভাষা আন্দোলনে নেতৃত্ব দান করেন। বগুড়া বারের বিশিষ্ট আইনজিবি হিসেবে যথেষ্ট সুনাম অর্জন করেছেন।


এছাড়াও আইনবিদদের মধ্যে আব্দুল জোববার, কাবেজ উদ্দিন আহম্মেদ, আব্দুস সাত্তার তরফদার, নারায়ন দাশ ভৌমিক, আই.এস এম কেরামত আলী, মোহাম্মদ জহুরুল ইসলাম, আকবর হোসেন আকন্দ, রইস উদ্দীন আহম্মদ, সুরেশ চন্দ্র নন্দি, একেএম মকবুল হোসেন, মোজাফ্ফর হোসেন খন্দকার, আবেদুর রহমান প্রমুখ উল্লেখযোগ্য।

৫। শিক্ষাবিদঃ

ক্রমিক সংখ্যা

নাম

জন্ম ও জন্মস্থান

অবদান

অধ্যক্ষ খোদেজা খাতুন

১৯১৭ সালের ১৫ আগস্ট, বগুড়া সদর

১৯৬৭ সালে পূর্ব পাকিস্তানের একমাত্র তিনি প্রেসিডেন্ট পদক লাভ করেন। তিনি রাজশাহী গভর্ণমেন্ট কলেজের অধ্যক্ষা ছিলেন।

অধ্যাপক এ.কে.এম নুরুল ইসলাম

১৯২৮ সালে, বগুড়া সদর

রাজশাহী বিভাগ তথা উত্তরবঙ্গে প্রথম ছাত্র হিসেবে উর্দু ভাষায় এম ডিগ্রি লাভ করেন। উর্দু ও বাংলাসহ তিনি ৬টি ভাষায় পারদর্শী ছিলেন।

অধ্যাপক এ.কে আজাদ

১৯৩০ সালে

১৯৬১ সালে তিনি ঢাকা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট এর ভাইস প্রিন্সিপাল ছিলেন। ১৯৬৮ সালে রাজশাহী ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের

অধ্যাপক ছিলেন।

এছাড়াও অন্যান্য শিক্ষাবিদদের মধ্যে অধ্যাপক আতাউর রহমান, এস.এম খলিলুর রহমান, অধ্যাপিকা ছালেহা খাতুন, ছমির উদ্দীন আহম্মদ, সুজ্জাত আলী, মহসিন আলী দেওয়ান, জসীম উদ্দীন আহমেদ, হুসনেআরা বেগম, মোজাম্মেল হক তালুকদার প্রমুখ নাম উল্লেখযোগ্য।

৫। কবি, লেখক ও সাহিত্যিকঃ

ক্রমিক সংখ্যা

নাম

জন্ম ও জন্মস্থান

অবদান

কে এম শমসের আলী

বাংলা ১৩১৬ সাল

কবি প্রতিভার কারণে তাকে কবিরত্ন ও সনেট বিষারদ উপাধি দেয়া হয়। আলিম্পন, পাকিস্তানের গান, সুরের মায়া, স্বাক্ষর, সোনার কমল, রমনার কবি প্রভৃতি কাব্য ও গীতিনাট্য রচনা করেন।

এম. শামছুল হক

১৯২৭ সালে

তিনি পল্লী তরুণী, অগ্নিশিখা, ফরিয়াদ, সাজেদা, পলাতকের চিঠি, উৎসর্গ, ভালবাসা, খাল বিল নদী উপন্যাস এবং মিতালি পাঠাগার, শিল্পীর সাধনা, মিথ্যার খেসারত ইত্যাদি নাটক রচনা করেন।

তিনি সাহিত্য কুঠিরের প্রতিষ্ঠা করেন।

তাজমিলুর রহমান

১৯২৫ সাল, বগুড়া জেলার কর্ণপূর

কলির জ্বীন, রুপচাঁদ, সুবেহ উম্মিদ, কারিগর(নাটক), অমৎসর, লঘুগুরু(ব্যঙ্গ রচনা) প্রভৃতি রচনা করেন।

রোমেনা আফাজ

১৯২৬ সালে, বগুড়া শেরপুর

দেশের মেয়ে, কাগজের নৌকা, শেষ মিলন, আলেয়ার আলো, জানি তুমি আসবে, প্রিয়ার কন্ঠস্বর, ভুলের শেষে, রক্তে অাঁকা ম্যাপ, মান্দিগড়ের বাড়ি, রঙ্গিয়া, হারানো মানিক, হুসনা, নীল আকাশ, কুন্ডী বাঈ প্রভৃতি উপন্যাস রচনা করেন।

আখতারুজ্জামান ইলিয়াস

১৯৪৩ সালে বগুড়ায় জন্ম গ্রহণ করেন। ১৯৯৭ সালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

তিনি গল্পকার ও ঔপন্যাসিক ছিলেন। তাঁর উপন্যাস :চিলেকোঠার সেপাই, খোয়াাব নামা। গল্প : দুধে ভাতে উৎপাত, দোজখের ওম, অন্য ঘরে অন্যস্বর গ্রন্থ :সংস্কৃতির ভাঙ্গা সেতু।

এছাড়া অন্যান্য কবি সাহিত্যিকদের মধ্যে নাজিরুল ইসলাম, মোঃ সুফিয়ান, এ বিএম ফজলুর রহমান, এম এ হান্নান, রেজাউল করিম চৌধুরী, সুশীল চন্দ্র নিয়োগী, আমজাদ হোসেন, রিয়াজ উদ্দীন, কে,এম মিছের, আয়েন উদ্দীন কবিরত্ন, ধীরেন্দ্র নাথ ভৌমিক, মোস্তাফিজুর রহমান, মহসিন আলী খান প্রমুখ উল্লেখযোগ্য।

৬। সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বঃ

ক্রমিক সংখ্যা

নাম

জন্ম ও জন্মস্থান

অবদান

ওস্তাদ আলা উদ্দীন সরকার

১৯০৬ সালে বগুড়া জেলার বৃন্দাবন পাড়া

তাঁর অনেক গান কলিকাতায় হিজ মাস্টারর্স ভয়েস ও মেগাফন কোম্পানীর দ্বারা রেকর্ড হয়। এছাড়াও তার অভিনিত চিত্রগুলি সাপুড়ে, অভিনেত্রী, রজতজয়ন্তী

বেদার উদ্দীন আহম্মদ

বগুড়া জেলার শেরপুর

তিনি রেডিও পাকিস্তানের একজন বিশিষ্ট বেতার শিল্পী ছিলেন।

আঞ্জুমানআরা বেগম

বগুড়া শহরে

তিনি অনেক বাংলা ও উর্দু ছায়াছবিতে প্লে-ব্যাক করেন।তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশনের একজন নিয়মিত শিল্পী।

খুরশীদ আলম

বগুড়া

একজন খ্যাতনামা গায়ক হিসেবে আধুনিক গান, রবীন্দ্র সংগীত এবং চলচিত্রের গান করেন।

আজিজুল জলিল (পাশা)

১৯৩৩ সালে, বগুড়া শহরে বৃন্দাবন পাড়

পূর্ব পাকিস্তানের শ্রেষ্ঠ চিত্র শিল্পী হিসেবে গণ্য করা হয়।

এছাড়া অন্যান্য সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বের মধ্যে শিবেন্দ্রনাথ কুন্ডু, অনিল কুমার বিশ্বাস, রেজাউল মোস্তফা, মোঃ আসাফুদ্দৌলা, রওশনআরা মাসুদ, জেবুননেছা জামাল, খন্দকার ফারুক আহম্মেদ, শওকত হায়াত খান, মমতাজুর রহমান, গোলেনুর খান, রীণা সাঈদা, আবু মোহাম্মদ জহুরুল, আমিনুর রহমান, আছাদ আলী, কফিল উদ্দীন আহম্মদ, আওলাদ হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান, নুরুল ইসলাম বুলু, এএফএম সাইফুদ্দীন, সামছুদ্দীন আহম্মদ, তৌফিক হাসান ময়না প্রমুখ উল্লেখযোগ্য।