১৮৮৫ সালে The Bengal local self Government Act III) অনুসারে ১৮৮৭ সালের ১ এপ্রিল বগুড়া জেলা পরিষদ গঠিত হয়। সে সময় কোন নির্বাচনী প্রথা না থাকায় তখন জেলা পরিষদের সকল সদস্যগণ সরকার কর্তৃক মনোনিত হন।
জেলা পরিষদ সৃষ্টির সময় জেলা পরিষদের উপর নিম্নলিখিত দায়িত্বগুলি অর্পিত ছিল। যথা- সড়ক ও জনপথ নির্মাণ ও সংস্কার, সেতু নির্মাণ, রাস্তার পার্শ্বে বিশ্রামাগার নির্মাণ, পানীয় জলসরবরাহ, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন, শিক্ষার উন্নয়ন, গ্রামাঞ্চলে স্বাস্থ্যরক্ষা ইত্যাদি জনসেবামূলক কাজ। তাছাড়াও জেলার প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহের সামগ্রিক পরিচালনার দায়িত্ব জেলা পরিষদের উপর অর্পিত ছিল। প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বার্ষিক পরীক্ষা এবং নিম্ন মাধ্যমিক বৃত্তি পরীক্ষাসমূহ পরিচালনা করত জেলা পরিষদ। সরকারের অনুমোদন নিয়ে টেকনিক্যাল স্কুল স্থাপন, খেয়া, ফেরীঘাট, দাতব্য চিকিৎসায়, হাসপাতাল প্রভৃতি প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনার ক্ষমতা জেলা পরিষদের উপর ন্যস্ত ছিল। বিভিন্ন সময়ে সংঘটিত দুর্ভিক্ষকালীন সাহায্য প্রদানের দায়িত্বও জেলা পরিষদ পালন করত। বগুড়া জেলার জনসাধারণের সামগ্রিক উন্নতি বিধানের প্রতি লক্ষ্য রাখাই ছিল জেলা পরিষদের উদ্দেশ্য। জেলা পরিষদের আয়ের প্রধান উৎস ছিল, জনপথের উপর ধার্য শুল্ক। প্রাদেশিক খাতের আয়ের কিছু অংশ জেলা পরিষদকে দেওয়া হত। যা দিয়ে জেলা পরিষদ শিক্ষা সম্প্রসারণ কার্যক্রমে অংশ গ্রহণ করতে পারত। জেলার অভ্যন্তরীণ ফেরীঘাট হতে প্রাপ্ত আয় হতে জেলা পরিষদ চিকিৎসা খাতে অংশ ব্যয় করা হত। অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কাজের মধ্যে পূর্ত সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনা করাও ছিল জেলা পরিষদের অন্যতম প্রধান দায়িত্ব। জেলার অভ্যন্তরীণ জলপথ রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বও পালন করত জেলা পরিষদ।
তৎকালীন জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। এই জেলা পরিষদের সর্বশেষ অফিসিয়াল চেয়ারম্যান ছিলেন মিঃ এ, পি সেন, (ডিষ্ট্রিক্ট ম্যাজিষ্ট্রেট)। জেলা পরিষদ প্রথম বেসরকারি নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন মরহুম খান সাহেব। জেলা পরিষদ সমগ্র জেলার স্বাস্থ্য সেবার উন্নয়ন, রাস্তাঘাট, সেতু নির্মাণ, ফেরীঘাট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, ক্রীড়া প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ পরিচালনা, বৃক্ষ রোপণ, শিক্ষাবৃত্তি বিতরণ, প্রভৃতির উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা করে থাকে।
দীর্ঘদিন যাবত জেলা পরিষদে নির্বাচন না হওয়ায় চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতিতে সরকার কর্তৃক প্রেষণে নিয়োজিত একজন উপ-সচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তা জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন।
নিম্নে বগুড়া জেলা পরিষদের সাংগঠনিক কাঠামো দেখানো হলোঃ
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস